
এশিয়ান জুয়েলসের ফটোশুটে দীঘি
- 14 Sep 2025
চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি আনোয়ারা বেগমকে সম্মান জানাতে আবেগঘন আয়োজন করল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস)। সংগঠনটির আয়োজনে গত সোমবার (১৪ জুলাই) মগবাজারস্থ বাচসাস কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় ‘মিট দ্য প্রেস’-এর প্রথম পর্ব। এতে অতিথি ছিলেন প্রখ্যাত অভিনেত্রী আনোয়ারা বেগম। অনুষ্ঠানে তাকে বাচসাসের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
‘এই চোখের পানি গ্লিসারিন নয়, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার’ —আনোয়ারা
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাচসাসের সাধারণ সম্পাদক রাহাত সাইফুল এবং সভাপতিত্ব করেন সভাপতি কামরুল হাসান দর্পণ। দোয়েল ওটিটির সহযোগিতায় আয়োজিত এই আয়োজনে শুরু থেকেই ছিল আন্তরিকতা, শ্রদ্ধা এবং আবেগঘন পরিবেশ।
আনোয়ারা বেগম বলেন, “বাচসাস আমার অনেক আপন। অনেক আগে থেকেই বাচসাসের সঙ্গে পরিচয়। আমি বাচসাসকে ভালোবাসি, সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি। আজকের অনুষ্ঠানে আমার চোখের পানি গ্লিসারিন নয়, এটা শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার প্রতীক। বাচসাস আমাকে যে সম্মান দিয়েছে, তা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মনে থাকবে।”
তার এই বক্তব্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। মুহূর্তেই পরিবেশ হয়ে ওঠে পিনপতন নীরব, আর অভিনেত্রীর কণ্ঠে উঠে আসে চলচ্চিত্রজীবনের স্মৃতিগাথা।
অনুষ্ঠানে বাচসাস সভাপতি কামরুল হাসান দর্পণ বলেন, “এই প্রথমবার বাচসাস ‘মিট দ্য প্রেস’-এর আয়োজন করল। আর আনোয়ারা বেগমের মতো বরেণ্য শিল্পীকে দিয়ে এই আয়োজন শুরু করতে পারা আমাদের জন্য গর্বের। নিয়মিত এই আয়োজনে আমরা চলচ্চিত্র, টিভি ও সংগীতের তারকাদের আমন্ত্রণ জানাব। তারা এখানে এসে কথা বলবেন তাদের ক্যারিয়ার ও সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে।”
বাচসাস’র সাধারণ সম্পাদক রাহাত সাইফুল বলেন, “কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের আন্তরিক সহযোগিতা এবং সাংবাদিক সহকর্মীদের সরব উপস্থিতিতে আমাদের এই আয়োজন সফল হয়েছে। আনোয়ারা মা শুধু একজন অভিনেত্রী নন, তিনি আমাদের চলচ্চিত্র ইতিহাসের জীবন্ত অধ্যায়। তাঁর চোখের জল ছিল আমাদের প্রতি ভালোবাসা ও আস্থার প্রতীক। এই আবেগই আমাদের পথচলার প্রেরণা।”
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আনোয়ারা বেগম। তুলে ধরেন তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মঞ্চ, চলচ্চিত্র ও টিভি নাটকের অভিজ্ঞতা ও ব্যক্তিজীবনের নানা অধ্যায়। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কন্যা জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা রুমানা ইসলাম মুক্তি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি লিটন রহমান, সালাম মাহমুদ, অর্থ সম্পাদক রুহুল সাখাওয়াত, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা মতিহার, দপ্তর সম্পাদক রুহুল আমিন ভূঁইয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য হাফিজ রহমান, পান্থ আফজাল, নিয়াজ মোর্শেদ শুভসহ বাচসাস পরিবারের সদস্য ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ।
উল্লেখ্য, আনোয়ারা বেগম তার অনবদ্য অভিনয়ের জন্য ‘মা’ (১৯৭৭), ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ (১৯৭৮), ‘কসাই’ (১৯৮০) ও ‘লাল কাজল’ (১৯৮২) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চারবার বাচসাস পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।